জনসেবার পাশাপাশি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার গরুর খামারে বড় স্বপ্ন দেখছেন। তার পরিচালিত খামারটি হল সিকদার ডেইরি ফার্ম। প্রায় চার-পাঁচ মাস আগে ২৫ টি গরু ক্রয় করে সাগরদিঘী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বেতুয়া গ্রামে সিকদার ডেইরি ফার্ম নামে একটি গরুর খামার গড়ে তুলেছেন। এখন সেই খামার থেকেই লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
সরেজমিনে খামার গিয়ে দেখা যায়, গো-খাদ্যের পর্যাপ্ত যোগান নিশ্চিত করার জন্য বর্তমানে তিনি ২ বিঘা জমিতে নেপিয়ার ঘাস চাষ করেছেন। গরু দেখাশোনা করার জন্য সার্বক্ষণিক তিন জন কর্মচারি কাজ করছেন। ঘাসের পাঁশাপাশি কলাগাছের সাইলেজ তৈরি করে প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করছেন তিনি।
খামারী সূত্রে, খামার ঘরের দৈর্ঘ্য গরু প্রতি ৩.৫-৪ ফুট জায়গা ধরে রাখতে হয়। ঘরের প্রস্থ এক সারি ঘর ১১-১২ ফুট ও দুই সারি ঘর ২০ ফুট করতে হয়। একচালা ঘরের উচ্চতা মেঝে থেকে কমপক্ষে ৭ ফুট হবে। ঘরের মেঝে পাকা এবং চার পাশে পর্যাপ্ত আলো বাতাস ঢুকার ব্যবস্থা রাখতে হয়। ঘরের মেঝে যাতে পিচ্ছিল বা স্যাঁতস্যাঁতে না হয় সেজন্য মেঝে একদিকে ঢালু রাখতে হয় যাতে সহজেই পানি নালা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে যায়। দিনে অন্তত একবার বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ চালিত ফ্যান দিয়ে ঘরের মেঝে শুকাতে হয়। যাতে করে ঘরের পরিবেশ শুস্ক থাকে। এছাড়া গরুর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা।
খামারি হেকমত সিকদার জানান, জনসেবার পাশাপাশি গরুর খামার করার উদ্যোগ নেন। তার খামারে বর্তমানে মোট ২৫ টি গরু আছে। খামার গড়ে তুলতে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। তিনি প্রাকৃতিক উপায়ে গরু লালন পালন করে যাচ্ছেন। কোরবানির ঈদে তিনি গরুগুলো বিক্রয় উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারবেন বলে আশা করছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।